
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় পেয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তিনি একই গ্রামের ভ্যানচালক বকুল মিয়ার (৬০) দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বকুল মিয়ার চারজন স্ত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে বর্তমানে দুইজন জীবিত রয়েছেন। পরিবারটিতে প্রায়ই স্ত্রীদের মধ্যে কলহ দেখা যেত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বকুল মিয়া জানান, “তিন দিন আগে আমার দুই স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর আর কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। তবে গত দুই দিন ধরে পেয়ারা শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল।”
নিহতার পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ খাওয়ার পর পেয়ারা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বুধবার ওষুধ ফেরত দিলেও বৃহস্পতিবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।