বিনোদন

অবশেষে আইনি পদক্ষেপ নিলেন অপূর্ব

তারকাদের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো নতুন নয়, তবে বর্তমানে এ প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এবার এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। বিষয়টি প্রতিবাদস্বরূপ তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

প্রায় সাত মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে দেশে ফেরার পর একমাত্র সন্তানকে সারপ্রাইজ দেওয়ার ভিডিওতে ফুটে উঠেছিল বাবা–ছেলের আন্তরিক মুহূর্ত। কিন্তু সেই ভিডিওকেই বিকৃতভাবে ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয় বিভ্রান্তিকর তথ্য, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অপূর্ব।

শুক্রবার রাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো কয়েকটি পেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ফেসবুকে অপূর্ব লেখেন—
‘কিছু মানুষের সত্য-মিথ্যার বোধ নেই, নুন্যতম সম্মানবোধও না। কিছু মানুষের গসিপ আর মিথ্যার কারখানা সমাজকে বিষাক্ত করে। আর কিছু গড়পড়তা মানুষরা যাচাই না করেই শেয়ার করেন, রিঅ্যাক্ট দেন এবং ভুল বিচার করেন। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা নিয়েও চলে নোংরা বিচার ও আজেবাজে কথাবার্তা। এটা শুধু লজ্জাজনকই নয়, চরম অমানবিকও।’

তিনি আরও লেখেন—
‘সন্তানের হাসি-কান্না তার প্রতিটা অনুভূতি পিতা-মাতার প্রতিটি দিনকে করে তোলে উজ্জ্বল ও অর্থবহ। তারা জানে না আপনি আপনার সন্তানকে যতোটা ভালবাসেন অন্য পিতা-মাতাও তার সন্তানকে ততোটাই ভালোবাসেন। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম ভাবার মত অসুস্থতা থেকে আপনারা দ্রুত সেরে উঠুন সেই প্রত্যাশা করি।’

অপূর্বর ভাষ্য—
‘আমার বা অন্য কারো সন্তান নিয়ে মনগড়া কোনো ভুল মন্তব্য করার আগে ভেবে নিন। আপনি যদি সত্য না জানেন, তবে নীরব থাকুন। কারণ, কারো সন্তানের জীবন আপনার কনটেন্ট তৈরির আইটেম নয়।’

এই ঘটনার পর অপূর্ব জানিয়েছেন, তার ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে যারা সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সবশেষে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানিয়ে অপূর্ব লেখেন—
‘এতো দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানাই। সবাই মিলে একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেই। সকলে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।’

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button