
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া শহরের ছোটকুমিড়ায় খাল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা ৬টি সক্রিয় গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
কড়া নিরাপত্তামূলক রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিট থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত একে একে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
প্রতিটি গ্রেনেড নিস্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দ হয়। ৬টির মধ্যে তিনটি গ্রেনেড নিস্ক্রিয় করার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায় এবং গ্রেনেডের ভেতরে থাকা ভারি বস্তু আশপাশের টিনের চালে ছড়িয়ে পড়ার শব্দও শোনা যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে এলাকাবাসী স্থানীয় বারকি খালে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় এক যুবক প্রথম কাদাপানির মধ্যে লোহার শক্ত বস্তু দেখতে পায়। যা দেখতে গ্রেনেড আকৃতির। পরে তারা একে একে ৬টি গ্রেনেড পান। এরপর স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ বিষয়টি সেনাবাহিনীকে অবহিত করেন। বিকেল ৪টার দিকে গ্রেনেডগুলো উদ্ধার করে ছোটকুমিড়া তাবলিগ জামাত পরিচালিত মারকাজ মসজিদের পেছনে মাঠে একটি বালতির ভেতরে রাখা হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল জানান, বেলা ১২ টার দিকে ছেলেকে নিয়ে খালে মাছ ধরার জন্য আসি। মাছ ধরার জন্য পানি সেচতে গেলে একটি জং ধরা গ্রেনেড দেখতে পাই। তখন কিছু বুঝিনি। এর কিছুক্ষণ পর আরেকটি গ্রেনেড পেলে তখন ভয় পেয়ে উঠে আসি। এরপর সবাইকে জানালে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন। প্রথমেই তারা গ্রামবাসীকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটে প্রথম গ্রেনেড নিস্ক্রিয় করা হয়। এ সময় বিকট শব্দ হয়। এরপর ৩৫ মিনিটের মধ্যে একে একে আরও ৫টি গ্রেনেড নিস্ক্রিয় করা হয়। তৃতীয় থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেনেড নিস্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দের পাশাপাশি আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়।
উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান, গ্রেনেড উদ্ধারের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা আলোচনা করেন। পরে মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনাবাহিনীর একটি বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে ৬ টি গ্রেনেড সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেন।এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।