ফার্মের ডিম না দেশি ডিম, পুষ্টিগুণে কোনটি এগিয়ে

ডিম আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পুষ্টিগুণ, স্বাদ ও স্বাস্থ্যের দিক থেকে দেশি ডিম ও ফার্মের ডিমের মধ্যে রয়েছে কিছু পার্থক্য। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে—কোনটি বেশি উপকারী?
দেশি ডিম
প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা দেশি মুরগির ডিমে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ ও ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন)। এগুলো চোখের স্বাস্থ্য, ত্বক এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। দেশি ডিমের কুসুম সাধারণত গাঢ় রঙের হয় এবং স্বাদেও তুলনামূলক সমৃদ্ধ।
ফার্মের ডিম
নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পালিত মুরগির ডিমে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও মিনারেল থাকে, যা হাড় ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দাম তুলনামূলকভাবে কম এবং সহজলভ্য হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে ফার্মের ডিম বেশি জনপ্রিয়।
স্বাদের পার্থক্য
দেশি ডিমের স্বাদ অনেক বেশি ঘন ও তেলতেলে, কুসুমও গাঢ় রঙের হয়। অন্যদিকে ফার্মের ডিমের স্বাদ হালকা এবং কুসুমের রং ফিকে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
- দেশি ডিম: প্রাকৃতিক ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টি উন্নত করে এবং ত্বক রক্ষায় সাহায্য করে।
- ফার্মের ডিম: প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা পূরণে কার্যকর। কম খরচে সহজলভ্য হওয়ায় এটি অধিকাংশ পরিবারের পছন্দ।
সম্ভাব্য ঝুঁকি
কিছু ফার্মে মুরগির খাবারে অ্যান্টিবায়োটিক বা হরমোন ব্যবহার করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে