আত্মহত্যায় সহায়তা করার অভিযোগে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা

মাত্র ১৬ বছর বয়সে আত্মহত্যা করা অ্যাডাম রেইনের পরিবারের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সুপিরিয়র কোর্টে ওপেনএআই এবং এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ অ্যাডামের আত্মহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
মা–বাবার দাবি, চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার পদ্ধতি জানাতে সাহায্য করেছিল এবং আত্মহত্যার নোটের খসড়া লিখতেও প্রস্তাব দিয়েছিল। মাত্র ছয় মাসের ব্যবহারে চ্যাটবটটি অ্যাডামের কাছে ‘একমাত্র বন্ধু’ হয়ে ওঠে, যা তাকে পরিবার ও প্রিয়জনদের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, চ্যাটজিপিটি তাকে আত্মহননের চিন্তাগুলো পরিবার থেকে গোপন রাখতে পরামর্শ দিয়েছিল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের আরও কয়েকটি মামলা হয়েছে। গত বছর ফ্লোরিডার এক মা এআই প্রতিষ্ঠান ‘ক্যারেকটার ডট এআই’-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলের আত্মহত্যার অভিযোগে। এরপর আরও কয়েকটি পরিবার একই ধরনের অভিযোগ আনে।
মামলাগুলো চলমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তারা কিশোরদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা ও আলাদা এআই মডেল চালু করেছে।
ওপেনএআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা অ্যাডামের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছে এবং অভিযোগ পর্যালোচনা করছে।
চ্যাটজিপিটি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবটগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, এ মাসের শুরুতে এর সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ৭০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে গবেষকরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, চ্যাটবটের সঙ্গে অতিরিক্ত আবেগঘন সম্পর্ক তৈরি হলে তা বাস্তব জীবনের সামাজিক বন্ধন দুর্বল করতে পারে এবং মানসিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
সম্প্রতি ওপেনএআই তাদের নতুন মডেল ‘জিপিটি–৫’ চালু করেছে। যদিও কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, এটি আগের মডেলের তুলনায় কম বন্ধুত্বপূর্ণ ও কখনো কখনো ভুল তথ্য দেয়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি পেইড ব্যবহারকারীদের পুরোনো মডেল ব্যবহারের সুযোগও রেখেছে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, প্রথম আলো