লাইফস্টাইল
শিশুরা কেন মিথ্যা বলে? কী করবেন?

ছবি: শাটারস্টক
শিশুরা বিভিন্ন কারণে মিথ্যা বলে থাকে, যা কখনো সচেতনভাবে, আবার কখনো অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে। এটি তাদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের অংশ হলেও, বাবা-মা বা অভিভাবকদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
শিশুরা কেন মিথ্যা বলে?
- ভয়: শাস্তি বা তিরস্কারের ভয়ে শিশু মিথ্যা বলে। ভুল করে ফেলার পর তারা সত্য প্রকাশ না করে মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
- মনোযোগ আকর্ষণ: মনোযোগ পেতে শিশুরা কখনো মিথ্যা কথার আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে যখন তারা দেখে মিথ্যা বললে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
- অনুকরণ: শিশু বড়দের আচরণ দেখে শেখে। যদি তারা দেখে বড়রা মিথ্যা বলছে, তারা ও মিথ্যা বলার প্রবণতা আয়ত্ত করে।
- কল্পনা ও বাস্তবের ফারাক বোঝার অসুবিধা: ছোট শিশুরা কল্পনার জগৎ ও বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। তাই তারা কল্পিত ঘটনা বাস্তব বলে বিবৃত করে।
- আত্মবিশ্বাসের অভাব: নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বা অন্যদের চমকানোর জন্য শিশুরা মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
- সামাজিক চাপ: বন্ধু বা আশেপাশের মানুষের চাপে পড়ে শিশুরা মিথ্যা বলে। তারা মনে করে সত্য বললে পিছিয়ে পড়বে।
কী করবেন?
- খোলামেলা আলোচনা: শিশুর সঙ্গে সহজভাবে কথা বলুন। মিথ্যা বলার পেছনের কারণ বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাদেরকে নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করুন।
- শাস্তির ভয় কমান: প্রতিবার সত্য বলার পর শাস্তি দিলে শিশুর মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়তে পারে। পরিস্থিতি বুঝে সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করুন।
- আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন: শিশুদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন এবং সত্য বলার গুরুত্ব বোঝান।
- সঠিক উদাহরণ দিন: শিশুরা বড়দের থেকে শেখে। অভিভাবক হিসেবে সততার উদাহরণ দিন।
- মনোযোগ দিন: শিশুরা মনোযোগ পেতে মিথ্যা বলে থাকলে তাদের অন্য কোনো গঠনমূলক মাধ্যমে মনোযোগ দিন। প্রশংসা ও ভালোবাসা দেখান।
- আবেগগত সহানুভূতি: শিশুর আবেগ ও চিন্তা গুরুত্ব দিয়ে শুনুন এবং সমাধান দিন।
শিশুরা বিভিন্ন কারণে মিথ্যা বলে, যা তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশের অংশ। কঠোর শাস্তির বদলে ধৈর্যশীল ও সহানুভূতিশীল আচরণ মিথ্যা সমস্যার সমাধানে অধিক কার্যকর।