কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় কখন যাবেন?

কাঞ্চনজঙ্ঘা। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা আকাশের বুকে যেন এক বিশাল রঙিন প্রতিচ্ছবি। কখনো শ্বেতশুভ্র, কখনো সূর্যের আলোয় কমলা রঙে ঝলমলে এই চূড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট উঁচু। মহান হিমালয়ের এই মহিমাময় শৃঙ্গ নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। বাংলাদেশ থেকে এ দৃশ্য উপভোগ করতে হলে যেতে হবে পঞ্চগড়ে।
কোথা থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের প্রধান স্থান। এখানে অবস্থিত ঐতিহাসিক ডাকবাংলো ও পিকনিক স্পট থেকে স্পষ্ট দেখা যায় দিগন্তে ভেসে থাকা শৃঙ্গ। পাশাপাশি বাংলাবান্ধা, বাইপাস, ভজনপুর করতোয়া সেতু ও ভিতরগড় থেকেও দেখা মেলে এর অপরূপ সৌন্দর্যের।
দর্শনের সেরা সময়
শীতকালই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আকাশ থাকে মেঘমুক্ত। ভোরের আলোয় কিংবা দিনের বিভিন্ন সময়ে পাহাড়চূড়ার রূপ বদলে যায়, যা পর্যটকদের বিমোহিত করে।
থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা
তেঁতুলিয়ায় আবাসিক হোটেল ছাড়াও ডাকবাংলো ও রেস্টহাউস রয়েছে, তবে থাকার জন্য পূর্বানুমতি নিতে হয়। পঞ্চগড় শহরেও সাধারণ মানের হোটেল আছে। স্থানীয় খাবারের মধ্যে ডিম ভুনা, শীদলের ভর্তা, কাউনের ভাত, পাটা শাকের খাটা ও শাকভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী পদ জনপ্রিয়।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও পঞ্চগড়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। মহারাজার দিঘী, ভিতরগড়, শাহী মসজিদ, মিরগড়, চা বাগান, রক্স মিউজিয়াম, জিরো পয়েন্ট ও বারো আউলিয়া মাজার এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে পঞ্চগড়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, চা ও পাথর শিল্পের সমন্বয়ে এ অঞ্চল পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা বহন করছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পর্যটনবান্ধব উদ্যোগ নিলে তেঁতুলিয়া সহজেই পরিণত হতে পারে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্রে।