
সারা দেশের ন্যায় বগুড়াতেও আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী।
লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত হয় মহাসমাবেশ। ১১ই রবিউল আউয়াল বাদ জুমা থেকে ১২ই রবিউল আউয়াল ফজর পর্যন্ত চলা এ আয়োজনে ছিল জশনে জুলুস বা আনন্দ র্যালী, ইসলামী আলোচনা, নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ, ক্বিয়ামসহ নানা নফল ইবাদত।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের (উত্তরবঙ্গ)’র সভাপতি ও হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার সুন্নতী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব এম এম ডক্টর আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকীর নেতৃত্বে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস। র্যালীটি বারোপুরস্থ সিদ্দীক্বিয়া দরবার থেকে শুরু হয়ে মাটিডালি, বনানী ও বিশ্বরোড প্রদক্ষিণ করে আবার দরবারে এসে শেষ হয়। আশেকে রাসুলদের হাতে হাতে ছিল হারাম বর্জনের আহ্বান ও সন্ত্রাসবাদমুক্ত সমাজ গঠনের বার্তা সম্বলিত ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার।
বাদ মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত চলা ওয়াজ-মাহফিল ও আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে এম এম ডক্টর আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী বলেন, “আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সৃষ্টির মধ্যে সর্বাধিক খুশির দিন আজ। কোরআন শরীফের সূরা আম্বিয়ার ১০৭ আয়াতে আল্লাহপাক এরশাদ করেছেন—‘হে রাসুল (দরূদ), আপনাকে আমি সারা জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ তাই ১২ রবিউল আউয়াল সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য খুশির দিন।” তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে—যাতে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা রয়েছে। এটি বৃহত্তর সুন্নী মুসলিম সমাজের স্বার্থবিরোধী এবং ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ।
পবিত্র এই দিনে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে মুসল্লিদের জন্য সাহরির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। রাতব্যাপী কর্মসূচি শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক মঙ্গল কামনা করে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এই মহাসমাবেশের।