আন্তর্জাতিক খবরপ্রধান খবর

করোনার পর ইউরোপজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স

করোনার পর এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অতি সংক্রামক ‘মাঙ্কিপক্স’। এই পরিস্থিতিতে জেনেভার সদর দপ্তরে এক সভায় বসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

শুক্রবার সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছন, মাঙ্কিপক্স বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় তারা সতর্ক রয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপেও এই ট্রপিক্যাল ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে দুই দেশই। ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের দ্রুত টিকার নেয়া পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

১৯৭০ সালে প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে সংক্রামনের খোঁজ মেলে বিরল ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক বাসিন্দা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া সফর করেছেন।সেখান থেকেই তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২০ জন।

এছাড়া, পর্তুগাল পাঁচ জন, স্পেনে ২৩ জনের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসও, আক্রান্ত এক জন।ওই ব্যক্তি কানাডা সফর শেষে দেশে ফেরেন।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউরোপজুড়ে ১০০ জনের মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গেছে। যাকে জার্মানি বলছে, এখন পর্যন্ত ইউরোপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

ইংল্যান্ড ও আমেরিকা ছাড়াও ভাইরাসটি স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং ইউরোপের বাইরের অষ্ট্রেলিয়াতে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স।

এই ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় বানরের শরীরে। সাধারণত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে ভাইরাসটি এবং আফ্রিকার বাইরে ছড়ানোর ঘটনাও বেশ বিরল ছিলো।

নাক, মুখ, চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের পোশাক থেকেও সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস। এটি খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে।

মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। তবে নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ থাকে। এ থেকে হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তি।

এর পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সাথে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

এসএ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button