আবহাওয়া

আসছে শৈত্যপ্রবাহ

আজ ৪ দিন পর রাজধানীর আকাশে দেখা মিলেছে ঝকঝকে সূর্যের। কিরণ বিচ্ছুরণে উষ্ণতা ছড়ালেও তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ার কথা জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জাওয়াদের সৃষ্ট মেঘের কারণে ভূপৃষ্ঠে আটকে থাকা তাপমাত্রা ওপরে উঠে ঠাণ্ডা হয়ে যাবে এবং বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পসহ দক্ষিণা হাওয়া আসা বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর থেকে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় আরো কাছাকাছি আসবে। ফলে শীতের মাত্রা বাড়বে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি ডিসেম্বরের মধ্য ভাগের পর দেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে নদী অববাহিকা এবং উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করবে। পৌষ মাস আসবে এক সপ্তাহ পরেই। এখনো শীতকাল শুরুই হয়নি। ঋতুচক্রে হেমন্তের শেষ লগ্ন চলছে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ স্বমূর্তিতে হানা না দিলেও তার সঙ্গী বৃষ্টি বেগ দিয়েছে কয়েক দিন। বিদায় নেওয়ার আগে সেই অকালবর্ষণ উপহার দিয়ে গিয়েছে ছদ্মশীত। তবে গতকাল রোদেলা দিন ছিল। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, জমকালো শীতের জন্য আরো কমপক্ষে দিন সাতেক অপেক্ষা করতে হবে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমে এসেছে। গতকাল বুধবার দেশের অধিকাংশ এলাকায় আকাশ ছিল মেঘমুক্ত। রাতের দিকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে শীতের দেখা মিলবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী কুয়াশা দেখা দিয়েছে। 

আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ ডিগ্রিতে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি বা দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান জানান, ডিসেম্বরে শেষার্ধে দুইটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে। এক্ষেত্রে একটি হালকা (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস), একটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। 

আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে আগত লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। 

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও গতকাল বুধবার তা কমে হয় ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button