বিডি ক্লিন বগুড়ার এবারের মিশন প্লেস ক্লাব থেকে মিতালী ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত
BD Clean - Bogura'র ১২ তম ইভেন্ট সফলভাবে সম্পূর্ণ। আসুন আমরাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি নিজের শহর টাকে
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল ৯.১৫ থেকে কাজ শুরু হয় এবং টানা দুপুর ১২.০০ টা পর্যন্ত একটানা কাজ চলে আর সাথে ছিল প্রায় ৬০-৬৫ জন সেচ্ছাসেবী। এবার ৪ থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত সেচ্ছাসেবী এই ইভেন্টে কাজ করছে। প্লেস ক্লাব থেকে মিতালী ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত, এক কথায় বলা চলে বগুড়া শহরের সবচেয়ে নোংরা জায়গার মধ্যে অন্যতম। হবেনা কেন কারন গত কয়েক মাসের জমানো ময়লার স্তুপ ছিলো ঐখানে। পচা ময়লার আবর্জনার গন্ধে আমাদের বমি-বমি হবে এই অবস্থা ছিল। তবু কেউ দমে যায় নাই! টানা দুইঘন্টার অধিক কাজ করছি আজ আমরা।
আর আজ আমাদের শপথ বাক্য পাঠ করায় প্লেস ক্লাবের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য শংকর। আর একটা কথা,আমাদের এই ইভেন্টে যে পরিমাণ শ্রম আজ আমরা ব্যায় করছি ৩ টা ইভেন্ট সমান শ্রম আজ দিতে হইছে। এই ইভেন্টের কিছু ছবি নিচে দেওয়া হলোঃ
আপু, ভাইয়ারা, আপনারা যারা দুর্গন্ধে নাক চেপে আমাদের পাশ কেটে চলে গেলেন, কাল থেকে অন্তত সপ্তাহ খানিক নিশ্চয়ই এ রকম গন্ধ আপনাদের উন্নত নাশিকাতে উপলদ্ধি হবে না। অথচ, এই দুর্গন্ধের মধ্যেই কাজ করতে করতে আমার ছোট কয় ভাই বমি করে অসুস্থ্য হয়ে গিয়েছিল। কাল অন্তত দয়া করে ভাববেন যে, কোন এক পাগলের দল এ ফলপট্টি টা পরিষ্কার করেছিল বলে, আজ অতোটা গন্ধ নাই।
হ্যা, BD Clean – Bogura এমনটাই ঝকঝকে করে দিয়েছিল আজকের স্টেশন রোড এর ফলপট্টি। তারপরও আপনাদের মন পেলাম না, ভাই। জিজ্ঞেস করে বসলেন, কত টাকা পান আপনারা? ভাইরে, টাকা পেলে কি এই ময়লা সরানোর কাজ করতাম? নিজের পকেটের টাকা খরচ করে গ্লোভস টা কিনি, মপ ক্যাপ টা কিনি, মাস্ক টা কিনি। কেউ কেউ দূর থেকে সিএনজি ভাড়া করে আসে। সব কাজ টাকার জন্য হয় না। ভালোবাসার জন্য হয়। নিজের প্রতি ভালোবাসা, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা, শহরের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি ভালোবাসা। এ কাজ টা আমরা করি এ সব কিছুকে ভালোবেসে।
বিডি ক্লিন বগুড়ার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে চলবেই।
১২তম ইভেন্টে আজকে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রমে আমরা BD Clean – Bogura যোদ্ধাদল।
এইবার পার্থক্যটা আপনারাই খেয়াল করুন।
আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করি কেমন বাংলাদেশ চান? পরিচ্ছন্ন নাকি অপরিচ্ছন্ন? নিশ্চয়ই সবার উত্তরই হবে “চাই পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ”। তাহলে কেন যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা (আমাদের ব্যবহৃত জিনিষপত্র ও খাদ্যদ্রব্যের উচ্ছিষ্টাংশ, কলার খোসা, চিপস-চকলেটের প্যাকেট, জুসের প্যাকেট, পানীয়’র বোতল, টিস্যু, ঝাল মুড়ির প্যাক, লিফলেট, টি-ব্যাগ, ওয়ান টাইম গ্লাস বা কাপ ইত্যাদি) ফেলে সুন্দর এই দেশটাকে আমরা নোংরা করব?
মনে রাখবেন, দেশটাকে পরিচ্ছন্ন করতে আপনার/আমার একটুখানি সচেতনতাই যথেষ্ট। শুধুমাত্র সবাই সচেতন হলেই পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। তাই যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে আসুন আমরা নির্দিষ্ট স্থানে/ডাস্টবিনে ফেলি। “পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন” বাস্তবায়নে আপনার শুরুটাও হোক এভাবেই…