আদমদিঘী উপজেলা
প্রধান খবর

বগুড়ায় বিড়াল হত্যা: থানায় জিডি, হবে ময়নাতদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া আদমদীঘিতে বিড়ালকে গলা কেটে হত্যা এবং পেট চিরে নারী-ভুঁড়ি বের করার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদমদিঘী থানায় এই জিডি করেন বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসেন।

এদিন সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে গতকাল সোমবার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর উনিয়নের দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসিসিয়েশনের নজরে আসে। ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পরে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

জিডিতে বলা হয়, সোমবার দুপুর ১ টা থেকে ২ টার মধ্যে দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামের মোছা. বুলবুলি (২৬) নামের এক নারী একটি সাদা-কালো পুরুষ বিড়ালকে বটি দিয়ে হত্যা করে বিড়ালের বুক চিরে নারী-ভুঁড়ি বের করে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দিলে প্রতিবেশী এক নারী বিড়ালটিকে কুড়িয়ে এনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসিসিয়েশনের আহ্বায়ক ও বন্যপ্রাণী বিষেশজ্ঞ আদনান আজাদ জানান, যেকোন প্রাণীকে হত্যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী(সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাছাড়া যে নিষ্ঠূরভাবে বিড়ালটিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এবং হত্যার পরে পেট কেটে নাড়ি -ভুঁড়ি বের করে নেওয়া হয়েছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে এই নারী একজন সাইকোপ্যাথ। তিনি যে কোনো সময় মানুষ হত্যা করতে পারবেন।

এই ঘটনার পরে বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত বুলবুলির একটি স্বীকারোক্তি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ার কারণে ক্রোধের মাথায় মাঠ থেকে বিড়ালটিকে ধরে এনে জবাই করে নাড়ি -ভুঁড়ি বের করে পুড়িয়ে ফেলেছেন।

আদমদীঘি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিড়ালের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।

ওসি জানান, এ ছাড়া জিডির বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button