
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার আদমদীঘিতে বিড়ালকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, তাকে বিড়াল হত্যার ঘটনায় নয় অন্য ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোনে পেয়ে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক ওই নারীর নাম বুলবুলি বেগম (২৬)। তিনি উপজেলার দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা।
সম্প্রতি মাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি বিড়ালকে গলা কেটে হত্যার পর পেটের নাড়িভুড়ি বের করে রাস্তায় ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিড়ালপ্রেমি একজন সেটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিড়ালপ্রেমিদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে প্রাণীর প্রতি অমানবিক আচরণের দৃশ্য দেখে নিন্দার ঝড় ওঠে অনলাইনে।
এই ঘটনার পরে বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত বুলবুলির একটি স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ার কারণে ক্রোধের মাথায় মাঠ থেকে বিড়ালটিকে ধরে এনে হত্যা করে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে পুড়িয়ে ফেলেছেন।
বিষয়টি নজরে আসে প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর। পরে ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন বাদী হয়ে আদমদীঘী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিড়াল হত্যার ঘটনায় তাকে আটক করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। তার পাড়া প্রতিবেশিদের সাথে মাঝেমধ্যেই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকতো।
ওসি জানান, আজকেও এলাকাবাসীর সাথে ওই নারীর কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিলো। আমরা ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই নারী বটি নিয়ে স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলো। ধর্তব্য অপরাধ যেন না ঘটায় তাই তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। পরে ১৫১ ধারায় আদালতে চালান করা হয়।



