গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ৫ পা নিয়ে বাছুরের জন্ম

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে পাঁচ পা নিয়ে বাছুরের জন্ম হয়েছে। জন্মের পর গত দুমাস ধরে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে আছে বাছুরটি। দেহে চার পা ছাড়াও গজ এর ভেতর থেকে আরেকটি পা বের হয়ে পাঁচ পা ওয়ালা বাছুরে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মামুদপুর গ্রামের কৃষক চিত্তরঞ্জন সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার গোয়াল ঘরের বাইরের বাছুরটি বেঁধে রাখা হয়েছে। বাছুরটির চারটি পা স্বাভাবিক থাকলেও পিঠের অংশের গজের ভিতর থেকে আরেকটি পা বের হয়েছে। তবে স্বাভাবিক বাছুরের মত চলাফেরা ও খাবার খেয়ে থাকে। শারিরিক কোন জটিলতা এখনও দেখা যায়নি।
কৃষক চিত্তরঞ্জন সরকার বলেন, জন্মের পর থেকে স্বাভাবিকভাবে মায়ের দুধ পান করছে বাছুরটি। শারিরিক কোন সমস্যা বা চেহারার অবনতি হয়নি। গজের ভেতর থেকে বের হওয়া অতিরিক্ত পা’ এর কারনে চলাফেরা কিংবা খাবার খেতেও সমস্যা হয় না।
তবে পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাছুরটি বড় হলে পায়ের আকার বৃদ্ধির কারনে চলাফেরায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে পা টি কেটে ফেলা যেতে পারে।
পাঁচ পায়ের বাছুর দেখতে আসা রিপন নামে একজন বলেন ‘পাঁচ পায়ের বাছুর আমি আগে কখনো দেখিনি। কয়েকদিন আগে শুনেছিলাম এখানে পাঁচ পায়ের গরুর বাছুর জন্মেছে তাই দেখার জন্য আসলাম।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাছুদার রহমান সরকার জানান, জিনগত সমস্যা বা জন্মগত ত্রুটির কারনে এ ধরনের বাছুরের জন্ম হয়ে থাকে। যেহেতু গত দু মাসে বাছুরটির শারিরিক কোন জটিলতা হয়নি, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।