করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা করা হবে

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সোমবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ বাড়ছে। জেলা পর্যায়ে মাস্ক না পরলে জরিমানাসহ বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া বর্তমানে সারা দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮০০ জন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মহামারি করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
গেল ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি জানান, আগামী ৩০ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। তবে, তিনি এও জানান, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে স্কুল-কলেজ খোলার তারিখ পিছিয়ে দেয়া হতে পারে।
এর আগে, গেল ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে। তবে, আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সবাইক করোনার টিকা দেয়া হবে।
এদিকে, গত কয়েকদিনে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একইসঙ্গে, বৃদ্ধি পেয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। আজ ১৫ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, গেল তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৬৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনার সংক্রমণ শুরু হলেও বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গেল বছরের ৮ মার্চ। আর করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সবশেষ চলতি বছরের গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন করে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করে সরকার।