জাতীয়নির্বাচন

জাতীয় নির্বাচনে দলীয় জোট- কীভাবে হয় এই প্রক্রিয়া?

জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জোট গঠন একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। ভোট বিভাজন রোধ, ক্ষমতাসীন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানো এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারই মূলত জোট রাজনীতির লক্ষ্য। সাধারণত একটি জোট গঠনের পিছনে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হয়।

জোট গঠনের ধাপগুলো

লক্ষ্য নির্ধারণ

নির্বাচনে দল কোন অবস্থানে থাকতে চায়- সেই লক্ষ্য ঠিক করাই প্রথম ধাপ।
এতে থাকে-

কোন আসনে জেতার সম্ভাবনা বেশি

মতাদর্শগত অবস্থান

জোটে গেলে কোন মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা

নেতৃত্ব বণ্টনের রূপরেখা

সম্ভাব্য মিত্র দল নির্বাচন

এ পর্যায়ে দলগুলো খোঁজে এমন সহযোগী যারা-

উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয়তা ও ভোটব্যাংক রাখে

নীতিগতভাবে কাছাকাছি

মাঠ সংগঠন শক্তিশালী

নির্বাচনে কাজে লাগতে পারে এমন প্রভাব রাখে

আলোচনা ও দরকষাকষি

জোট গঠনের আসল চিত্র তৈরি হয় এই ধাপে। আলোচনার প্রধান বিষয়-

আসন বণ্টনের ফর্মুলা

জোটের নাম-নেতৃত্ব-কাঠামো

যৌথ ইশতেহারের মূল প্রতিশ্রুতি

এতে সাধারণত কয়েক দফা বৈঠক হয়।

আসন বণ্টন

জোট রাজনীতির সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। বিবেচনা করা হয়-

পূর্বের নির্বাচনের ফল

কোন এলাকায় কোন দল শক্তিশালী

সম্ভাব্য প্রার্থীর জনপ্রিয়তা

যৌথ ইশতেহার তৈরি

বড় জোট হলে তারা প্রকাশ করে একটি সমন্বিত ইশতেহার, যেখানে থাকে-

অর্থনীতিকৃষিমানবাধিকারআইনশৃঙ্খলাবৈদেশিক নীতি

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

সংবাদ সম্মেলন বা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হয়-

জোটের নাম ও নেতৃত্ব

উদ্দেশ্য ও রাজনৈতিক লক্ষ্য

যুক্ত দলগুলোর তালিকা

এটি জনমনে গ্রহণযোগ্যতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ।

মাঠে যৌথ প্রচারণা

জোট স্থায়ী হলে নির্বাচনী মাঠে দলগুলো একই ব্যানার-স্লোগান-মঞ্চে প্রচার চালায়।
এক দলের প্রার্থীর জন্য অন্য দলও কাজ করে।

নির্বাচন-পরবর্তী সমঝোতা

নির্বাচনে জোট সরকার গঠন করলে ভাগ করা হয়-

মন্ত্রিপদ

নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা

ভবিষ্যৎ জোট রক্ষার চুক্তি

দলীয় জোট হলো- ভোটের কৌশল, দরকষাকষি, আসন সমঝোতা ও যৌথ প্রচারের সমন্বিত রাজনৈতিক খেলা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button