স্বাস্থ্য

পুরুষদের থেকে নারীদের ঘুম বেশি প্রয়োজন কেন?

দিনভর কাজের মধ্যে সতেজ ও কর্মক্ষম থাকতে চাইলে যেমন খাবার ও পানি দরকার, তেমনই প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। একটানা ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম আমাদের শরীর ও মনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যদিও কারো একটু বেশি, কারো বা একটু কম ঘুমের দরকার হতে পারে। তবুও ঘুম কম হলেই এর প্রভাব পড়ে আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে।

কয়েক রাত ঠিকমতো না ঘুমোলেই দেখা দিতে পারে মনোযোগে ঘাটতি, ভুল হওয়া, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অসুবিধা ইত্যাদি। আর এই সমস্যা কর্মজীবী নারীদের মধ্যে আরো বেশি দেখা যায়। কারণ, অফিসের কাজের পাশাপাশি বাড়ির দায়িত্বও তাদের থাকে। ফলে চাপও দ্বিগুণ হয়।আর এই মানসিক চাপই হয়ে ওঠে ঘুমের বড় বাধা। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ঘুমের প্রয়োজন পুরুষদের তুলনায় একটু বেশি। কারণ তাদের ঘুম তুলনামূলকভাবে হালকা হয়। যেকোনো সামান্য কারণেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে।তাই শুধু সময় পেলেই হবে না, নারীদের জন্য প্রয়োজন নিশ্চিন্ত ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম। ঘুম কম হলে তার প্রভাব পড়ে হরমোনের ভারসাম্যে, মানসিক স্বাস্থ্যে, কর্মক্ষমতায় ও ব্যক্তিগত জীবনেও। তাই সময় থাকতে ঘুমের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে নারীরা কী করতে পারেন?
১। স্ক্রিন টাইম কমান
ঘুমের আগে টিভি, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন ব্যবহার কমিয়ে দিন।এই স্ক্রিনের আলো মস্তিষ্ককে সজাগ করে তোলে, যার ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। শোবার অন্তত এক ঘণ্টা আগে এগুলো বন্ধ করুন। চাইলে একটু হালকা গান শুনতে পারেন। তবে হেডফোন ছাড়া, দূর থেকে।

২। সতর্ক থাকুন কী খাচ্ছেন
ঘুমের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক গভীর। ক্যাফেইন যেমন কফি বা চকোলেট ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই শোবার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে এই ধরনের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। রাতের খাবার হালকা রাখুন। অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়।

৩। মন হালকা করার অভ্যাস করুন
ঘুমানোর সময় অনেকের মাথায় চিন্তা ভিড় করে—কাজ, সংসার, ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা ইত্যাদি। এসব চিন্তা সরাতে চাইলে একটা উপায় হল লিখে ফেলা। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার চিন্তা বা পরের দিনের টু-ডু লিস্ট লিখে রাখুন। এতে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে।

সারাদিনের ব্যস্ততার পর নিজেকে একটু সময় দেওয়া জরুরি। সুস্থ ঘুম মানেই সুস্থ মন ও শরীর। তাই নিজের ভালোর জন্য আজ থেকেই ঘুমের যত্ন নেওয়া শুরু করুন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা    

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button