লাইফস্টাইল

ভিডিও সিভি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে চাকরির আবেদনে, কীভাবে তৈরি করবেন

চাকরির বাজারে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘ভিডিও সিভি’। ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগদক্ষতা ও উপস্থাপনাভঙ্গি সরাসরি দেখানোর সুযোগ থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান এখন লিখিত সিভির পাশাপাশি ভিডিও সিভি চাইছে। ফেলোশিপ, করপোরেট ও ক্রিয়েটিভ সেক্টরে এর ব্যবহার আরও বেড়েছে।

ভিডিও সিভি কীভাবে তৈরি করবেন


– ভিডিও শুরুর আগে ছোট, পরিষ্কার ও পরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট তৈরি করুন।
– দৈর্ঘ্য ৬০–৯০ সেকেন্ডে সীমাবদ্ধ রাখুন। নিয়োগদাতার একাধিক ভিডিও দেখার সময় থাকে না।
– শুরুতেই নাম, পদবি ও মূল যোগ্যতা বলুন।
– সংশ্লিষ্ট দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সাফল্য সংখ্যাসহ তুলে ধরুন (যেমন বিক্রয় ২৫% বৃদ্ধি)।
– কোম্পানির সংস্কৃতি বা পদের সঙ্গে নিজের উপযুক্ততা ১–২ লাইনে ব্যাখ্যা করুন।
– ইতিবাচক বার্তা দিয়ে ভিডিও শেষ করুন—পরবর্তী ধাপে আগ্রহের কথা জানান।

ভিডিও ধারণের সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন


– ভিডিও ও অডিওর গুণমান যেন পেশাদারমানের হয়।
– পরিষ্কার ব্যাকগ্রাউন্ড ও যথেষ্ট আলো ব্যবহার করুন; প্রাকৃতিক আলো সবচেয়ে ভালো।
– ভালো ক্যামেরা/ফোন ও প্রয়োজনে মাইক্রোফোন ব্যবহার করুন।
– পদের উপযোগী পোশাক পরুন।
– ক্যামেরায় সরাসরি তাকিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিমায় কথা বলুন; ইতিবাচক দেহভঙ্গি বজায় রাখুন।
– অভিজ্ঞ বন্ধুদের সহায়তা নিতে পারেন।

ভিডিও সিভি কীভাবে জমা দেবেন


– ভিডিও ই–মেইলে পাঠাবেন না; ইউটিউব/ভিমিওতে ‘Unlisted’ করে আপলোড করুন।
– লিখিত সিভি বা কাভার লেটারে লিংক যোগ করুন।
– চাইলে সিভিতে কিউআর কোড যুক্ত করতে পারেন।

ভিডিও সিভির প্রভাব


বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিডিও সিভি প্রার্থীর যোগাযোগদক্ষতা, আচরণ, ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস সরাসরি মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। এতে প্রার্থী ভিড়ের মধ্যে আলাদা হয়ে উঠে আসে এবং নিয়োগদাতার সিদ্ধান্ত নেওয়াও সহজ হয়। তবে এটি প্রথাগত সিভির বিকল্প নয়; বরং শক্তিশালী পরিপূরক।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button