লাইফস্টাইল

ভালোবাসা ও সম্মান নারীর হরমোনের জন্য জরুরি, সুস্থতার চাবিকাঠি

নারীর হরমোনাল সিস্টেম—মেজাজ, ঘুম, মাসিক, মানসিক চাপ, হজম, যৌনজীবন, আত্মবিশ্বাস—মূলত নির্ভর করে তার মানসিক নিরাপত্তার ওপর। এই নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি আসে তার জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষ, যেমন স্বামী বা প্রেমিকের আচরণ থেকে।

নারীর শরীর খুব সংবেদনশীল। তার হরমোন মিনিটে মিনিটে পরিবর্তিত হয়। তাই ছোট্ট কথাবার্তা, আচরণ, রূঢ়তা বা মমতা নারীর হরমোনে সরাসরি প্রভাব ফেলে।

সম্মান দেখানো, কোমলভাবে কথা বলা এবং অনুভূতিকে গুরুত্ব দেওয়া নারীর শরীরে শান্তি ও ভালোবাসার হরমোন বৃদ্ধি করে। এর ফলে হরমোন ব্যালান্সে থাকে, মাসিক নিয়মিত থাকে, মেজাজ স্থিতিশীল হয়, মানসিক চাপ কমে, ঘুম গভীর হয়, হজম শক্তিশালী হয়।

কিন্তু রূঢ় কথা, অবহেলা বা ভালোবাসার অভাব নারীর শরীরকে হুমকি হিসেবে মনে করে। তখন মানসিক চাপের হরমোন বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ মেজাজের ওঠানামা, মাসিক গোলমাল, ঘুম কমে যাওয়া, ওজন পরিবর্তন, পেট ফোলা, পেটে ব্যথা, চুল পড়া—এসব দেখা দিতে পারে।

ছোট্ট মিষ্টি বাক্য, আলিঙ্গন বা সহানুভূতিশীল আচরণ নারীর শরীরকে শান্তি দেয়। হৃদস্পন্দন ধীর হয়, স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়, হরমোনগুলো আবার ব্যালান্সে আসে।

ভালোবাসা তার শরীরের ওষুধ, সম্মান তার হরমোনের স্থিরতা, কোমল আচরণ তার মানসিক শান্তি। একটুখানি যত্ন তার পুরো হরমোনাল সিস্টেমকে সুস্থ রাখে।

পুরুষরা ভালোবাসা প্রকাশে কিছুটা পিছিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু বোঝা মাত্রই তাদের আচরণ নারীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। সত্যিকারের সঙ্গী হয়ে একজন পুরুষ নারীকে সম্পর্কের সুখ দেওয়ার পাশাপাশি তার শরীর, মন ও আত্মাকেও সুস্থ রাখে।

ভালোবাসা কোনো বিলাসিতা নয়—এটাই নারীর প্রথম চাওয়া তার প্রিয় মানুষের কাছ থেকে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button