লাইফস্টাইল

ঈদে পেটের সমস্যায় যা করণীয়

পবিত্র ঈদুল আজহার খাবারে মাংসের নানা পদ ছাড়াও সঙ্গে নানা রকম খাবারদাবার থাকে কয়েক দিনের খাদ্যতালিকায়। কাবাব, মাংসের ঝোল, কলিজা, মাথা, ভুঁড়ি ইত্যাদি নানা রকম খাবার খাওয়া হয়। এসব খাবার অনেকের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি করে।

চলুন জেনে নিই এই সময় পেটের সমস্য হলে কী করবেন-

  • পরিমিত মাংস খেতে হবে। দুপুরে মাংস খেলে রাতে অন্য কিছু রাখুন। সঙ্গে অন্যান্য খাবারও খেতে হবে। যেমন শাকসবজি, সালাদ, ফলমূল ইত্যাদি।
  • বেশি করে পানি পান করতে হবে, না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পানিশূন্যতা যেন না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের দিন অনেকের অনেক পরিশ্রম করতে হয়, বিশেষত যাঁরা মাংস কাটেন, তাঁদের জন্য সার্বক্ষণিক পানি ও খোলা বাতাসের ব্যবস্থা থাকা উচিত।
  • কোরবানির মাংসের সঙ্গে দুধ-জাতীয় খাবার, যেমন ফিরনি,পায়েস ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। এতে অতিরিক্ত গ্যাস হতে পারে। তবে টক দই অনেক সময় হজমে সহায়তা করে।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন। মাংস কাটাকুটির পর দ্রুত জীবাণুনাশক দিয়ে বাড়িঘর পরিষ্কার করে ফেলুন। দা, বঁটি, ছুরি—যা ব্যবহৃত হয়েছিল, তা-ও ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। কাঁচা মাংস বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না।
  • যাদের নানা রকম অসুস্থতা আছে, তাঁদের এ সময় খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খেয়েই শুয়ে পড়বেন না বা দিবানিদ্রা দিতে যাবেন না। আগের দিনের খাবার গরম করতে হবে সাবধানে।
  • সাধারণ গ্যাসের সমস্যা অথবা বদহজম হলে প্রাথমিকভাবে সাধারণ গ্যাসের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ও প্রচুর আঁশযুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
  • পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হলে স্যালাইন পান করুন। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের রোগীরাও স্যালাইন পান করতে পারবেন ডায়রিয়ার সময়। তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে বা বারবার বমি হলে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button