
জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর জোট গঠন নতুন ঘটনা নয়। ক্ষমতার সমীকরণ, ভোটসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মাঠ পর্যায়ে শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে দলগুলো প্রায়ই জোট করে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- এই জোট গঠনের আইনগত ভিত্তি কী? কোন আইন দলগুলোকে যৌথভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়?
বাংলাদেশে দলীয় জোট গঠন নিয়ন্ত্রিত হয় প্রধানত Political Parties Act, 2011 ও Representation of the People Order (RPO), 1972 অনুসারে।
Political Parties Act, 2011 কী বলছে
নিবন্ধিত দুই বা ততোধিক রাজনৈতিক দল ইচ্ছা করলে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে জোট গঠন করতে পারে।
জোট গঠনের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক নথিভুক্ত হয়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়।
জোটভুক্ত প্রতিটি দলের স্বতন্ত্র সত্তা ও নিবন্ধন অক্ষুণ্ণ থাকবে।
অর্থাৎ, জোট করলেও দলগুলো আলাদা পরিচয়ে বিদ্যমান থাকবে এবং নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখবে।
RPO 1972 (নির্বাচন আইন) কী বলে
জোট গঠন বৈধ, তবে নির্বাচনে প্রতিটি প্রার্থী তার নিজস্ব দলীয় প্রতীক নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
প্রতীক ভাগাভাগি বা বড় দলের প্রতীক ছোট দলকে দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিয়ম এখন আর কার্যকর নয়।
ভোটার যেন প্রার্থীর দল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে পারে- এ লক্ষ্যেই প্রতীক ব্যবহারে স্বতন্ত্রতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আইনের উদ্দেশ্য
ভোট বিভ্রান্তি কমানো
প্রতীকের অপব্যবহার রোধ
জোট রাজনীতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা
ভোটারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা
বিশ্লেষকদের মতে, আইন সংশোধনের মাধ্যমে রাজনৈতিক জোট গঠনে নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টি হলেও জোট রাজনীতি বন্ধ হয়নি। বরং প্রতীক ব্যবহারে স্বচ্ছতা বাড়ায় ভোটাররা সহজে বুঝতে পারবেন কোন দল কাকে সমর্থন দিচ্ছে।



