জাতীয়

টিকিটের লাইনে ভোগান্তিতে নারীরা, কাউন্টার বাড়ানোর দাবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তৃতীয় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

সোমবার দেয়া হচ্ছে ২৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। ঈদ যাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ মে থেকে।

ট্রেনের টিকিট পেতে ভোর থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারের দাঁড়িয়েছে হাজার হাজার টিকিটপ্রত্যাশী।

এদিকে অন্য বছরের মতো এবারো নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে তা একেবারেই নগণ্য বলে জানিয়েছেন স্টেশনে আগত টিকিটপ্রত্যাশী নারীরা। ভোগান্তি এড়াতে অন্তত পাঁচটি কাউন্টার নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার দাবি তাদের।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার কমলাপুর থেকে মোট ১৬টি কাউন্টার থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য দুটি (১৮ ও ১৯ নম্বর) কাউন্টার থেকে টিকিট দেয়া হচ্ছে।

তবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করে বেলা ১১টা পর্যন্তও টিকিট না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী।

এ নিয়ে কথা হয় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর নারী ও প্রতিবন্ধীদের একটি কাউন্টারে টিকিট দেয়া হতো। এবছর তাদের জন্য দুটি কাউন্টার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করছি, সবাই সুষ্ঠুভাবেই টিকিট পাবেন। কাউন্টারে যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী, রেলপুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, এবার কালোবাজারে টিকিট পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে সবাই এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দেখিয়ে টিকিট নিচ্ছেন। এ কারণে একটু দেরি হয়তো হচ্ছে। আশা করি পরিবারের সঙ্গে সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন।

এসএ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button