জাতীয়

আজ শুভ মহালয়া

ছবি: সংগৃহীত

আজ বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন ‘শুভ মহালয়া’। আজ থেকেই দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা শুরু। ভোরের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটিয়ে সূচনা হলো দেবীপক্ষের। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে মর্ত্যে দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানানো হয়।

মহালয়া উপলক্ষে চণ্ডীপাঠ ছাড়াও বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, আজ দশভুজা শক্তিরূপে দেবী দুর্গা মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠান করবেন। শেফালিঝরা শারদ প্রভাতে জলদকণ্ঠে চণ্ডীপাঠ আর পিতৃপক্ষের তর্পণের সমাপন ঘটেছে। এই চণ্ডীপাঠেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির কাহিনি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।

তাদের বিশ্বাস, শরতের আকাশে-বাতাসে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে ‘রূপং দেহি, জয়ং দেহি, যশো দেহি, দ্বিষো জহি’-র সুরলহরি। আজ ঘনঘটার অমাবস্যা তিথিতে ঢাকের কাঠির আঘাতে প্রাণ জেগে উঠবে।

পুরাণে বলা আছে, দুর্গোৎসবের তিনটি পর্ব—‘মহালয়া’, ‘বোধন’ ও ‘সন্ধিপূজা’। মহালয়ার দিনেই দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারত না। ফলে অসীম শক্তিধর মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি হতে চাইলে, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিংহবাহিনী সঙ্গে নিয়ে দেবী দুর্গা টানা নয় দিনের যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও বধ করেন।

মহালয়ার ভোর থেকেই শুরু হয় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ। সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, পিতৃপক্ষে প্রয়াত আত্মারা স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আসেন। তাদের আত্মার মঙ্গল কামনায় ভক্তরা জল, তিল ও অন্ন উৎসর্গ করে তর্পণ করেন।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই দিনটি সারা দেশে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। মহালয়া উপলক্ষে মন্দির ও পূজা কমিটিগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button