
ছবি: সংগৃহীত
আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটছে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। ভোর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশের মণ্ডপে বাজছে বিদায়ের ঘণ্টা। সকালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দশমীর বিহিত পূজা, এর পর হবে দর্পণ বিসর্জন ও প্রতিমা বিসর্জন। বিশ্বাস করা হয়, এদিন দেবী দুর্গা কৈলাশে ফিরে যান। ভক্তদের মতে, কাম, ক্রোধ, হিংসা ও লালসার মতো অসুরিক প্রবৃত্তিকে বিসর্জন দেওয়ার মধ্য দিয়েই বিজয়া দশমীর প্রকৃত তাৎপর্য নিহিত।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে, এর মধ্যে রাজধানীতে মণ্ডপের সংখ্যা ২৫৯। সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। রাজধানীর অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে বুড়িগঙ্গায়।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর জানিয়েছেন, “দুর্গা মায়ের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। তিনি কৈলাশে ফিরে যাবেন, আর আমরা অপেক্ষা করব আগামী বছরের পূজার জন্য।” তিনি রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় এবারের পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, বিজয়া দশমীতে বিসর্জন শোভাযাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরে পূজা পরিদর্শনকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবিও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।”
বিজিবি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী ও সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪৩০ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে ২ হাজার ৮৭০টি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে ১ হাজার ৪১৭টি মণ্ডপ এবং বাকি ১ হাজার ৪৫৩টি মণ্ডপ সীমান্তের বাইরে অবস্থিত।
বিজিবি মহাপরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, শেষ দিন পর্যন্ত সকলের সহযোগিতায় এবারের দুর্গোৎসব সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।
তথ্যসূত্র: মানব জমিন