
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা করে তার নিরাপত্তায় এসএসএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার সকালে বিশেষ বৈঠকের পর উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা, নির্বিঘ্ন চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা বিবেচনায় তাকে ভিভিআইপি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মতোই তার নিরাপত্তায় এসএসএফ কাজ শুরু করেছে।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, দেশে ফিরলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও কি এসএসএফ সুবিধা পাবেন? বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফজলে এলাহী আকবর জানিয়েছেন—তারেক রহমান দেশে এলে তার নিরাপত্তা বিবেচনায় সরকারের কাছে এসএসএফ সুবিধার প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিভিআইপি সুবিধা কারা পান, কীভাবে পান?
বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে খালেদা জিয়া যেহেতু ভিভিআইপি, তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই নিরাপত্তা প্রযোজ্য হওয়া উচিত। ফলে তারেক রহমান দেশে ফিরলে স্বাভাবিকভাবেই এসএসএফ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময় এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তার একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। যদিও বিএনপির মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন—তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইঙ্গিত থেকে অনেকেই মনে করছেন, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই তিনি দেশে ফিরতে পারেন।
বাংলাদেশে ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সিআইপি—এই তিন শ্রেণির বিশেষ ব্যক্তিত্ব আছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভিভিআইপি হিসেবে এসএসএফ নিরাপত্তা পান। তবে আইন অনুযায়ী সরকারের এখতিয়ার রয়েছে অন্য কাউকে ভিভিআইপি ঘোষণা করারও। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জন্য নেওয়া এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় তার পরিবারের সদস্য হিসেবেও তারেক রহমান দেশে ফিরলে এসএসএফ সুবিধা শুরু হতে পারে—এমন ধারণা রাজনৈতিক মহলে জোরালো হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা



