
আবদুল মতিন। ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট আবদুল মতিনের (৪২) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকালে কেন্দ্রের দোতলায় স্টাফ কোয়ার্টারের নিজ কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আবদুল মতিন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার চকবিরোহী গ্রামের মৃত আবদুল কাদের প্রামানিকের ছেলে।
জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে তিনি গুজিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন এবং স্টাফ কোয়ার্টারে স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত ১ অক্টোবর তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান, এরপর থেকে তিনি একাই থাকছিলেন।
রোববার সকালে সহকর্মীরা অফিসে এসে কক্ষে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে তাকালে মেঝেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, মৃতের কক্ষ থেকে চিকিৎসার কাগজপত্র ও ওষুধ পাওয়া গেছে। তিনি হৃদরোগ ও অ্যাজমাসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে এটি হৃদরোগজনিত মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।