ফের উত্তপ্ত ক্রিকেটপাড়া, নির্বাচন বয়কট করতে পারেন তামিম

জরুরি সভায় ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা। ছবি: নয়া দিগন্ত
আগেই অনুমান করা হয়েছিল অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটতে পারে। হলোও তাই। আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের ক্রিকেটপাড়া। দিনভর নানা ঘটনা, শঙ্কা ও নাটকীয়তার পর মূল নাটক দেখা যেতে পারে বুধবার।
বিসিবি নির্বাচনের মাঠ গরম করে তুলেছে বিতর্কিত ১৫ ক্লাব। শুরুতে নিষেধাজ্ঞা, পরে প্রত্যাবর্তন—শেষ পর্যন্ত আবারও নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমেছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাদ পড়েছে এই ১৫টি ক্লাব।
গুঞ্জন আছে, ক্লাবগুলোর বেশিরভাগই বিএনপি সমর্থিত প্যানেল তামিম ইকবালের সহযোগী ছিল। বলা হচ্ছিল, তামিমের ভোট ব্যাংক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছিল ক্লাবগুলোকে। শেষ মুহূর্তে নিষিদ্ধ হওয়ায় তার প্যানেল এখন চাপে পড়েছে।
প্রথম থেকেই দুদকের তদন্তে নানা অনিয়মের অভিযোগে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ ছিল এই ১৫ ক্লাব। তবে পরে ক্রীড়া উপদেষ্টার মধ্যস্থতায় সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত তালিকায় রাখে তাদের। শর্ত ছিল—১২ পরিচালক পদের মধ্যে তিনটি থাকবে সরকারপন্থীদের জন্য, আর বাকি নয়টি পদ পাবে তামিমপন্থীরা।
কিন্তু তামিম ইকবালের পক্ষ সেই সমঝোতায় শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা দাবি তোলে বাকি তিন পদও নিজেদের হাতে নেওয়ার। সমঝোতা ভেঙে গেলে নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বেড়ে যায়। এর মধ্যেই সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সৈয়দ হাসান যুবায়েরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন, যেখানে নিষিদ্ধ করা হয় ওই ১৫ ক্লাবকে।
তবে তামিমপন্থীদের অভিযোগ, এখানে সরকারি হস্তক্ষেপ রয়েছে। এ কারণে তারা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। বিসিবি নির্বাচন বয়কট করতে পারে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ১২-১৩টি ক্লাব।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বুধবার (১ অক্টোবর)। তফসিল অনুযায়ী সেদিনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন, একই দিনে প্রকাশ হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। মঙ্গলবার রাতেই জরুরি বৈঠকে বসছে ক্লাবগুলোর প্রতিনিধি। সব মিলিয়ে বুধবার হয়ে উঠতে যাচ্ছে বিসিবি নির্বাচনের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন।
তথ্যসূত্র: নয়াদিগন্ত