টাকা পাঠানোর সময় মাত্র ২ মিনিটে হারাতে পারেন সব টাকা

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এখন বাজার করা, বিল পরিশোধ, বেতন নেওয়া-পাঠানোসহ দৈনন্দিন ব্যবহারে ব্যাপকভাবে নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু যতই মোবাইল লেনদেন জনপ্রিয় হচ্ছে, প্রতারণার ফাঁদও ততই বাড়ছে। তাই সতর্কতা ছাড়া এক মুহূর্তের অসাবধানতাই খালি করে দিতে পারে আপনার পুরো অ্যাকাউন্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ মোবাইল লেনদেনের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে- আর এর সঙ্গে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে- আপনার পিন শুধুই আপনার। সহজ বা জন্মতারিখভিত্তিক পিন ব্যবহার না করে এমন নম্বর দিন যা অনুমান করা কঠিন। অবশ্যই অফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করবেন- গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ফোনে শক্তিশালী স্ক্রিন লক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি ব্যবহার করুন। এতে ফোন হারালেও অন্য কেউ অ্যাপে প্রবেশ করতে পারবে না। অচেনা কোনো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না- এসএমএস, ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো লিঙ্ক অনেক সময়ই প্রতারণার ফাঁদ। ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) কখনো কাউকে শেয়ার করবেন না। ট্রান্সফারের সময় ওটিপি চাইলে ধরে নিন কেউ আপনার হিসাব দখল করতে চাইছে।
টাকা পাঠানোর পর রসিদ মিলিয়ে দেখা অভ্যাস করুন। ভুল নম্বরে টাকা পাঠালে দ্রুত অপারেটরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে। জনসমাগমস্থলে ফ্রি ওয়াই-ফাই দিয়ে লেনদেন না করাই নিরাপদ- কারণ এতে হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এজেন্ট পয়েন্টে লেনদেনের সময়ও সচেতনতা জরুরি। কাউকে ফোন ধরিয়ে দেবেন না, পিন হাতে নিজেই ইনপুট করুন। নিয়মিত নোটিফিকেশন ও লেনদেন বিবরণী চেক করলে সন্দেহজনক কার্যক্রম দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব।
ডিজিটাল লেনদেন যত বাড়ছে, ততই নিরাপত্তা সচেতনতা জরুরি। একটু সতর্কতা আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে- আর একটি ভুল আপনাকে আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।


