আজ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে ‘মিড ডে মিল’, যা যা থাকবে মেনুতে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আজ শনিবার থেকে সারা দেশে চালু হচ্ছে ‘মিড ডে মিল’ বা স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যা চলবে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। তালিকায় রয়েছে ফর্টিফাইড বিস্কুট, বনরুটি, সিদ্ধ ডিম, কলা বা মৌসুমি ফল এবং ইউএইচটি দুধ।
খাদ্যতালিকা অনুযায়ী—
রবিবার: ১২০ গ্রাম বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম
সোমবার: বনরুটি ও ২০০ গ্রাম ইউএইচটি দুধ
মঙ্গলবার: ৭৫ গ্রাম ফর্টিফাইড বিস্কুট এবং কলা বা মৌসুমি ফল
বুধবার ও বৃহস্পতিবার: বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম
এই খাদ্যতালিকায় শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় এনার্জির ২৫.৯%, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২.২%, প্রোটিনের ১৬.৪% এবং ফ্যাটের ২১.৭% সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করা এবং পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে তাদের পুষ্টি উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এতে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের বেশি হবে, ঝরে পড়া কমবে, প্রকৃত ভর্তির হার বছরে অন্তত ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, শিশুদের ধরে রাখার হার ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে কর্মসূচিটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস



