অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে, কিন্তু কেন?

ছবি: সংগৃহীত
হার্ট অ্যাটাক একসময় বয়স্কদের রোগ হিসেবে বিবেচিত হলেও, এখন ক্রমেই তরুণরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এই প্রবণতা চিকিৎসকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপই এর মূল কারণ।
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়
শরীরের শিরা-উপশিরায় রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে রক্ত জমাট বাঁধে। ফলে হৃদযন্ত্রে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছায় না, এতে চাপ সৃষ্টি হয় এবং হার্ট অ্যাটাক ঘটে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ
তরুণদের মধ্যে ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণের প্রবণতা হার্টের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। এসব অভ্যাস রক্তনালিতে প্লাক জমিয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ায়। তাই ধূমপান ও অ্যালকোহল সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা জরুরি।
ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস
পিৎজা, বার্গার, রোল বা বিরিয়ানির মতো ফাস্ট ফুড শরীরে দ্রুত কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে রক্তনালী সরু হয়ে যায় এবং হৃদযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইরে তৈরিকৃত খাবারের পরিবর্তে ঘরে রান্না করা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়।
ব্যায়ামের অভাব
অলস জীবনযাপন ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব তরুণদের হৃদরোগের বড় কারণ হয়ে উঠছে। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শরীরে ক্ষতিকর হরমোনের মাত্রা বাড়ায় ও প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
তরুণ বয়সেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবি—বলছেন বিশেষজ্ঞরা।