প্রয়োজনীয় তথ্য

ভূমি মালিকদের জরুরি ১০ করণীয়

ছবি: সংগৃহীত

নামজারি হলো জমির মালিকানা প্রমাণের অন্যতম দায়িত্বশীল দলিল। রেজিস্ট্রির পরে যত দ্রুত সম্ভব নামজারি করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটখাটো ভুল বা অবহেলা অনেককেই আবেদন বাতিলের মুখে ফেলে — তাই ভূমি মালিক ও ক্রেতাদের নিচের বিষয়গুলো সতর্কভাবে মেনে চলা জরুরি।

১. দাগ নম্বরে ভুল
করণীয়: দলিল করার আগে খতিয়ান দেখে দাগ নম্বর নিশ্চিত করুন; ভুল থাকলে ঠিক করান।

২. চৌহত্তিতে ভুল
করণীয়: দাগ, মৌজা, সাবেক মালিকসহ চৌহত্তির প্রতিটি তথ্য অভিজ্ঞ দলিল লেখকের মাধ্যমে যাচাই করুন।

৩. ভোটার আইডি ও দলিলের নামের অমিল
করণীয়: দলিলের নাম এবং ভোটার আইডির নাম একরকম আছে কি না যাচাই করে প্রয়োজন হলে সংশোধন করুন।

৪. মালিকানা ধারাবাহিকতায় অসঙ্গতি
করণীয়: সিএস/এসএ/আরএস রেকর্ড অনুযায়ী মালিকানা ইতিহাস ২৫ বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দলিলে উল্লেখ করুন।

৫. খতিয়ান নম্বরে অমিল
করণীয়: সর্বশেষ রেকর্ডের সঙ্গে খতিয়ান নম্বর মিলিয়ে সঠিক নম্বর করবেন।

৬. জমি পূর্বে অন্যের নামে নামজারি থাকা
করণীয়: কেনার আগে নামজারি রেকর্ড ও দাগ নম্বর খতিয়ে দেখুন; একই জমি একাধিকবার বিক্রি হয়নি কি নিশ্চিত করুন।

৭. অর্পিত সম্পত্তি থাকা
করণীয়: ভূমি অফিস থেকে যাচাই করে নিন জমিটি কোনো সরকারি/অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত আছে কি না।

৮. খাস জমির অংশ থাকা
করণীয়: জমির প্রতিটি অংশ দাগ ও খতিয়ান মিলিয়ে দেখুন; খাস জমি থাকলে তা আলাদা করুন।

৯. নদীভাঙন বা সরকারি খাস জমির অংশ থাকা
করণীয়: মাঠ পর্যায়ে ভৌগোলিক ও আইনগত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হোন জমির অবস্থা।

১০. নিজের অংশের চেয়ে বেশি বিক্রি করা
করণীয়: বন্টননামা ও ওয়ারিশ সনদ দেখে বিক্রেতার বিক্রয় ক্ষমতা যাচাই করুন।

নামজারি রিজেক্ট হলে করণীয়
১. এসিল্যান্ড অফিসে গিয়ে রিজেকশনের কারণ জানুন।
২. ভুল সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করুন।
৩. দালালের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত কাজ করানোর চেষ্টা করবেন না।
৪. প্রয়োজন হলে উপজেলা ভূমি অফিস বা অভিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নিন।

সতর্কতা
নামজারি ছাড়া জমির বৈধ মালিকানার প্রমাণ থাকে না; ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে দলিল, দাগ, খতিয়ান ও মালিকানা ইতিহাস বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করুন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button