
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় আদালতের হাজতখানা থেকে খুন ও ডাকাতি মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) ও জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র আতোয়ার রহমান।
আসামি পালানোর ঘটনায় একই দিন আদালতের তিন কর্মকর্তাসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আতোয়ার রহমান জানান, আসামি পালানোর ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান।
এর আগে হাজতখানার দায়িত্বে থাকা তিনজন এটিএসআই এবং তিন জন কনস্টেবল মোট ছয় জনকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তে প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্য বা অন্য কারো গাফিলতি বের হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ছাড়া পলাতক আসামি রফিকুল ইসলাম এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া জেলা জজ আদালতের হাজতখানায় আসামি গণনা শেষে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। ওই সময় ভীড়ের মধ্যে জোড়া পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রফিকুল ইসলাম নামে খুন ও ডাকাতি মামলার আসামি পালিয়ে যান।
গত ৯ জুলাই জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগরের লক্ষীমন্ডপ এলাকায় শ্বশুর ও পূত্রবধুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় আদালতের এসআই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে পলাতক আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন।



