শীতে বাড়ে হাঁটু–কোমর–জয়েন্টের ব্যথা, কী করবেন?

শীতকাল এলেই অনেক মানুষের হাঁটু, কোমর, ঘাড় ও অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডার কারণে শরীরে রক্তসঞ্চালন কমে যায় এবং পেশি শক্ত হয়ে পড়ে। এ কারণেই পুরনো ব্যথা তীব্র হয় বা নতুন করে ব্যথা দেখা দেয়।
ব্যথা বাড়লে কিছু নিয়ম মেনে চললে আরাম পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রথমত, শরীর গরম রাখা অত্যন্ত জরুরি। শীতের সময় গরম কাপড় পরতে হবে এবং হাঁটু, কোমর ও ঘাড় ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে। রাতে কাঁথা বা কম্বল ব্যবহার করলে ঠান্ডার প্রভাব কমে।
দ্বিতীয়ত, সেঁক নেওয়া উপকারী। গরম পানির ব্যাগ বা গরম তোয়ালে দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার ১০–১৫ মিনিট সেঁক দিলে জয়েন্ট ও পেশির ব্যথা অনেকটাই কমে আসে।
তৃতীয়ত, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটা, স্ট্রেচিং কিংবা হালকা যোগব্যায়াম পেশি ও জয়েন্টকে সচল রাখে। তবে ব্যথা বেশি থাকলে ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চতুর্থত, কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পেশি শিথিল হয় এবং ব্যথা কমতে সাহায্য করে। সকাল বা রাতে গরম পানিতে গোসল করলে শরীর আরাম পায়।
পঞ্চমত, খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা জরুরি। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও ওমেগা–৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ, দুধ ও বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালেও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, কারণ পানিশূন্যতা জয়েন্টের ব্যথা বাড়াতে পারে।
এ ছাড়া দীর্ঘ সময় এক ভঙ্গিতে বসে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে। যারা অফিসে বসে কাজ করেন, তাদের ঘন ঘন অবস্থান বদলানো ও হালকা নড়াচড়া করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ওজন হাঁটু ও কোমরের ওপর চাপ বাড়ায়, ফলে ব্যথা তীব্র হতে পারে।
সবশেষে, যদি ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে থাকে, জয়েন্ট ফুলে যায় বা চলাফেরায় সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।



