খেলাধুলাফুটবল
প্রধান খবর

মোরসালিনের গোলে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমদের আগমনে বদলে গেছে বাংলাদেশ ফুটবলের রূপ। আগে যেখানে হংকংয়ের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো, ভারতকে ধরা হতো আন্ডারডগ—সেই দলই এবার হতাশার বৃত্ত ভেঙে দিল। নেপাল ও হংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের ক্ষত মুছে মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ, অপেক্ষার অবসান ঘটল ২২ বছর পর।

এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের এই ম্যাচে দুই দলেরই মূল পর্বের আশা আগেই শেষ। তবু মর্যাদার লড়াইয়ে উত্তেজনার কমতি ছিল না। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ—হামজাদের দেখতেই।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। ১৩ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত গোলটি। রাকিবের দারুণ গতিময় দৌড় আর নিখুঁত পাস থেকে আলতো টোকায় বল জালে পাঠান শেখ মোরসালিন। পুরো গ্যালারি তখন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।

গোল খেয়ে ভারত মরিয়া হয়ে ওঠে। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তারিক কাজী ইনজুরিতে মাঠ ছাড়লে বাংলাদেশ একটু ব্যাকফুটে গেলেও বিরল মুহূর্তে দলকে বাঁচান হামজা চৌধুরী। ফাঁকা পোস্টে নিশ্চিত গোল ঠেকাতে দুরন্ত দৌড়ে এসে লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে বিপদমুক্ত করেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা চালায়। ভারত চেষ্টা করেও স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। শেষ দিকে চাপ বাড়ালেও হামজা-শমিত, জায়ান-তপু আর গোলরক্ষক মিতুল ছিলেন অনড়। ভারতকে সমতার সুযোগ দেননি কেউ।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ জয় ছিল ২০০৩ সালে ঢাকায় ২-১ গোলে। দুই দল এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৩০ বার। আজকের জয় বাংলাদেশকে দিয়েছে চতুর্থ সাফল্য; এছাড়া রয়েছে ১৩টি ড্র ও ১৩টি পরাজয়। এ বাছাইপর্বের প্রথম লেগে শিলংয়ে হামজার অভিষেকেই গোলশূন্য ড্র করেছিল লাল-সবুজ।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button