তিস্তায় পানি বিপদসীমার উপরে, নিরাপদ স্থানে ছুটছে লোকজন

ছবি: সংগৃহীত
তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। রোববার রাত আটটায় তিস্তা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ফ্লাড বাইপাস ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
ভারত থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানির কারণে সকাল থেকেই তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। সকাল তিনটায় বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও সন্ধ্যা ছয়টায় তা ১০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে এবং রাত আটটায় ২০ সেন্টিমিটার ছাড়ায়। এতে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, ডুবে গেছে হাজার হেক্টর আমন ধানক্ষেত।
হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ফ্লাড বাইপাস ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এটি ভেঙে গেলে হাতীবান্ধা শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গুড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর হক জিয়া জানান, তার ইউনিয়নের বহু পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিং করছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিস্তা তীরের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: মানবকণ্ঠ