
অতীতের বিবাদ ভুলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এখন দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশ—এ মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ) সভাপতি ও দেশটির সাবেক মন্ত্রী মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, পাকিস্তান সব সময় বাংলাদেশের কল্যাণ, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে এবং বাংলাদেশকে ভাইচারা দেশের মর্যাদায় দেখে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম হলেও বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র অস্থিরতা তৈরি করছে। মুসলমানরা শান্তিতে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও ফিলিস্তিনে এখনো রক্ত ঝরছে; অতীতেও চেচনিয়ায় একই দৃশ্য দেখা গেছে। মুসলিম বিশ্বের অনৈক্যের কারণেই বহির্বিশ্ব আক্রমণের সুযোগ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান সব সময় দলমত–নির্বিশেষে মুসলিম ও অমুসলিম সবার অধিকারের পক্ষে কাজ করে। অমুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে দলটি ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের মহাসচিব মাওলানা আবদুল গফুর হায়দারী এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেপালের সহসভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান কাসেমী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী। তিনি বলেন, অনেকেই সংসদে আইনের সংশোধনের দাবিতে রক্ত দেওয়ার কথা বলেন বা মাইকের সামনে আইনবিরোধী বক্তব্য দেন—এ প্রবণতা বন্ধ করে উলামাদের আচরণে সংযম আনা জরুরি।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি প্রধান অতিথির উর্দু বক্তব্যের সারাংশ উপস্থাপন করেন।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।



