জাতীয়

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পরিবর্তন, আবেদন শুরু কবে, কারা করতে পারবেন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বছর পরীক্ষার কাঠামো, বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন এবং সময়সীমায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, নিয়োগ পরীক্ষা দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে— লিখিত ও মৌখিক। লিখিত পরীক্ষা হবে ৯০ নম্বরের, যেখানে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে ২৫ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বর এবং গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২০ নম্বর করে মোট ৪০ নম্বর থাকবে। সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ মিনিট।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪৫, যা মোট নম্বরের ৫০ শতাংশ। মৌখিক পরীক্ষায়ও পাসের জন্য ৫ নম্বর অর্জন করতে হবে।

এর আগে লিখিত পরীক্ষা হতো ৭৫ নম্বরে এবং মৌখিক পরীক্ষা ২৫ নম্বরের। তাতে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক ফলাফলের ওপর ১০ নম্বর এবং ব্যক্তিত্ব, প্রকাশ ক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক দক্ষতার ওপর ১৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল।

আবেদন শুরু কবে, কারা করতে পারবেন
প্রথম ধাপে প্রকাশিত এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি শুধুমাত্র রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রার্থীদের জন্য। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থীদের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

অনলাইনে আবেদন শুরু হবে ৮ নভেম্বর (শনিবার) থেকে এবং চলবে ২১ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।

সহকারী শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেডভুক্ত, জাতীয় বেতনস্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা। ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ২১ ও সর্বাধিক ৩২ বছর হতে হবে।

আবেদনকারীদের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ বা ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮)। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না।

তথ্যসূত্র: যুগান্তর

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button