
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার শাজাহানপুরে বিষাক্ত মদপানে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও একজন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হতাহতরা সবাই গত ২ অক্টোবর (বুধবার) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজার দশমীর দিন শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া ও খোট্টপাড়া এলাকায় মদপান করেন।
নিহতরা হলেন, বগুড়ার শাজাহানপুরের খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার মৃত মাহবুবুর রহমান মণ্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান মণ্ডল (৫০)। একই এলাকার খোকা সোনারের ছেলে নাছিদুল ইসলাম (২৭), যিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক। খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার সুলতানের ছেলে মানিক মিয়া (২৮), পেশায় ট্রাকচালক। এবং খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার আবু বক্করের ছেলে আব্দুল্লাহ আল কাফি (৩০), পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
পুলিশ জানায়, গত ২ অক্টোবর (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শারদীয় দুর্গাপূজার দশমীর দিন শাজাহানপুর থানার বেজোড়া মধ্যপাড়া সনাতন ধর্মশালা পূজামণ্ডপের পাশে এবং খোট্টপাড়া ইউনিয়নের বেলতলা এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি একসঙ্গে মদপান করেন। এরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে সবাইকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়।
অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে তারা মৃত্যুবরণ করেন। গত ৭ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিজানুর রহমান মণ্ডল। এরপর নাছিদুল ইসলাম মারা যান ৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে। তিনি গত ৩ অক্টোবর দুপুরে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
নাছিদুল তার পরিবারের কাছে মদপানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
আজ বেলা ১২টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মানিক মিয়া। আর বিকেল ৫ টার দিকে
আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে আরেক যুবক মারা যান।
পুলিশ জানায়, নিহতদের সঙ্গে রঞ্জু মিয়া (৩০) নামে আরেক জন মদপান করেছিলেন। তিনি শজিমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়িও শাজাহানপুরের খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ায়।
এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানা পুলিশ বাদি হয়ে আজ শুক্রবার একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা বিষাক্ত মদপান করেছিলেন। ঘটনার উৎস ও সরবরাহকারীদের শনাক্তে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।



