ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই চালু, যা যা করা যাবে

বিশ্বের নানা দেশে আগেই চালু থাকলেও ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরাও এখন মেটা এআই চ্যাটবট ব্যবহার করতে পারছেন। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য এই চ্যাটবটটি উন্মুক্ত করেছে মেটা।
মেটা প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল দ্বারা চালিত এই উন্নত এআই চ্যাটবট ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির মতোই কাজ করতে সক্ষম। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় অ্যাপে সরাসরি সংযুক্ত থাকায় ব্যবহারকারীরা এখন সহজেই এআইয়ের সুবিধা নিতে পারছেন।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বুশরা হুমায়রা বলেন, “মেটা এআই চ্যাটবটটি শুধু প্রশ্নের উত্তর দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি সৃজনশীল, তথ্যমূলক ও ব্যবহারিক নানা কাজে সহায়তা করতে পারে। এটি মূলত একটি ‘অল-ইন-ওয়ান’ অ্যাসিস্ট্যান্ট।”
ব্যবহারকারীরা সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস কিংবা দৈনন্দিন সমস্যা—সবকিছু নিয়েই মেটা এআইয়ের কাছে জানতে পারেন। অ্যাপের সার্চ বারে এআই আইকনের মাধ্যমে বা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাটে ইংরেজিতে ‘@Meta AI’ মেনশন করে প্রশ্ন করা যায়। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব।
মেটা এআই ব্যবহার করে লিখিত নির্দেশনা থেকে মুহূর্তে ছবি বা জিআইএফ তৈরি করা যায়। যেমন, “সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাঘের ছবি তৈরি করো” লিখলেই বাস্তবসম্মত ছবি পাওয়া যায়। এছাড়া ই-মেইল, বার্তা, জীবনবৃত্তান্ত বা প্রবন্ধের খসড়া তৈরিতেও এটি সাহায্য করতে পারে।
এআই চ্যাটবটটি ছবি সম্পাদনাতেও সক্ষম—যেমন কোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বদলানো বা অবাঞ্ছিত বস্তু সরিয়ে দেওয়া। শিক্ষার্থীদের হোমওয়ার্কে সহায়তা করা, ডেভেলপারদের কোডিং পরামর্শ দেওয়া, এমনকি ভ্রমণ পরিকল্পনা বা বাজেট তৈরির কাজেও এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে।
মেটার ভাষ্যে, এই প্রযুক্তি সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার উদ্যোক্তাদের কাজের গতি বাড়াতে সহায়তা করবে। মেটা এআই ব্যবহারের জন্য ভিজিট করা যাবে মেটার নির্ধারিত ওয়েবসাইটে।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো


