ক্যাসিনো সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঢাকার আলোচিত ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা ও যুবলীগের সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহীম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন। সম্রাটের অনুপস্থিতিতেই রায়টি দেওয়া হয়।
অস্ত্র মামলায় এটাই সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রথম দণ্ডের রায়। রায়ে বিচারক বলেন, সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। সেই অপরাধের ভিত্তিতেই তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, পলাতক সম্রাটের এই সাজা তার গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে অস্ত্র আইনে সম্রাটের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিল। বিচার চলাকালে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এই ট্রাইব্যুনাল সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর র্যাব অস্ত্র মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র্যাব কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে।
গ্রেপ্তারের পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং র্যাব তার কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান চালায়। তখন সেখানে পাওয়া যায় দুটি নির্যাতনের যন্ত্র, পাঁচটি গুলিসহ একটি পিস্তল, দুটি ক্যাঙারুর চামড়া, ১,১৬০টি ইয়াবা বড়ি এবং ১৯ বোতল বিদেশি মদ।
ওই সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ছয় মাস এবং অবৈধ মদ রাখার দায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
অস্ত্র মামলার পাশাপাশি মাদক, অর্থপাচার ও দুর্নীতির মামলায় ঢাকার আরও তিনটি আদালত আগেই সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি স্টার



