বগুড়ায় হাতকড়াসহ পালানো আওয়ামী লীগ নেতা রাজু সাভার থেকে গ্রেপ্তার

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম ওরফে রাজুকে ঢাকার সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-১২-এর ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানি (সিপিএসসি) বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রেজ্জাকুল ইসলামকে সাভার থেকে বগুড়ায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তাঁকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
র্যাব সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ বগুড়া সিপিএসসি, র্যাব-৪ সিপিসি-২ এবং সাভার র্যাব সদস্যদের সমন্বয়ে বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নবীনগর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে রেজ্জাকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রেজ্জাকুল শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ জুলাই-আগস্টের সহিংস ঘটনার মোট ১৪টি মামলা তদন্তাধীন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছর ৫ আগস্ট থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
এর আগে, ৪ অক্টোবর রাতে চক ভোলাখাঁ গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রেজ্জাকুলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তবে থানায় নেওয়ার পথে তাঁর সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ তাঁকে ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অভিযানে অংশ নেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ চক ভোলাখাঁ গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের মধ্যে ১১ জন নারী।



