
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরকীয়ার কারণে স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে বগুড়ার বেকারী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম (৪৫) কে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত জহুরুলের স্ত্রী শামীমা বেগম ও তার প্রেমিক বিপুল হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের পর বিষযটি সাংবাদিকদের জানান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদীঘি তালুকপাড়ার একটি ধান ক্ষেত থেকে বেকারী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছোটবেলায় জহুরুলের বাবা-মার মধ্যে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় তার মামার বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। পরে তার মামাতো বোনের সাথে তার বিয়ে হয় এবং তার মামা তাকে তার বাড়ির পাশেই বাড়ি করে দেন। সেখানেই জহুরুল বসবাস করে আসছিলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে তদন্তের মাধ্যমে আসলে আমরা আসামী ধরতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে হত্যকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, জহুরুলের সাথে বিয়ের আগে থেকেই শামীমার সাথে বিপুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু শামীমার বাবা তাকে জহুরুলের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর কিছুদিন সম্পর্ক তাদের মধ্যে না থাকলেও আবারও তারা পুরনো সম্পর্কে ফিরে যায় এবং তারা অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, কয়েকদিন আগে জহুরুল তার স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে শামীমা রাগান্বিত হয়ে তার প্রেমিক বিপুল কে দিয়ে জহুরুলকে হত্যার পর পরিকল্পনা করেন। পরে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩ নভেম্বর শামীমা ১৫টি ঘুমের ওষুধ গুড়ো করে দুধের সাথে মিশিয়ে জহুরুলকে পান করান। জহুরুল ঘুমিয়ে পড়লে মোবাইল ফোনে বিপুলকে ডেকে নেন শামীমা। এরপর তারা দুজন জহুরুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় গেঞ্জি পড়িয়ে বাড়ির বাইরে ধান খেতে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।



