স্ত্রী যদি হন সহানুভূতিশীল, বদলে যায় স্বামীর পুরো জীবন

দাম্পত্যজীবন আল্লাহর অনন্য উপহার। সচেতন ও সহানুভূতিশীল স্ত্রী পাওয়া একজন পুরুষের জীবনে পরম সৌভাগ্যের বিষয়। এমন স্ত্রী শুধু জীবনসঙ্গিনী নন, বরং স্বামীর জীবনে হয়ে ওঠেন নির্ভরতার স্থান, যিনি ঘরে এনে দেন শান্তি, ভালোবাসা ও উষ্ণতার পরশ।
সংসারের প্রতিটি কাজে তাঁর যত্ন, সন্তান লালনে নিষ্ঠা এবং স্বামীর প্রতি সহযোগিতা মিলিয়ে গড়ে ওঠে সহজ ও সুখকর জীবনযাপন। সংসারের ছন্দ ও জীবনের ভারসাম্যও তাঁর উপস্থিতিতেই পূর্ণতা পায়।
মানবসভ্যতার শুরু থেকেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও মৌলিক বন্ধন। আল্লাহ তাআলা যখন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন, তখন তাঁর হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য সৃষ্টি করেন হজরত হাওয়া (আ.)-কে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘হে মানবকুল, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের একটি মাত্র ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তাঁর সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন। এরপর সেই দুজন থেকে বহু নর-নারীর বিস্তার ঘটিয়েছেন।’ (সুরা নিসা: ১)
আরও বলা হয়েছে,
‘তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এরপর তাঁর মাধ্যমে বংশীয় ও বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তোমার প্রতিপালক সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা ফুরকান: ৫৪)
ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সহায়ক ও পরিপূরক। কোরআনের বাণীতে বলা হয়েছে,
‘তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
পারস্পরিক বোঝাপড়া ও ভালোবাসাই দাম্পত্যজীবনের ভিত্তি। দিনের শেষে স্বামীর কাছে স্ত্রীর উপস্থিতি হয়ে ওঠে আশ্রয়ের মতো, আর স্ত্রীর কাছে স্বামী হয় শান্তির প্রতীক।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তার কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম: ২১)



