নির্বাচন
প্রধান খবর

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ধরনের ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষাসহ চারটি কারণকে কেন্দ্র করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের প্রস্তুত করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোন আধুনিক প্রযুক্তি হলেও নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় এটি নানা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে— ভোটারের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, নিরাপত্তা হুমকি, আইন ও বিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কা এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঝুঁকি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অননুমোদিত ড্রোন ভোটকেন্দ্র বা অফিসের অভ্যন্তরে ভিডিও ধারণ করে ভোটের গোপনীয়তা নষ্ট করতে পারে, এমনকি বিপজ্জনক বস্তু বা বিস্ফোরক বহন করে হামলার ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। এ কারণে নির্বাচন চলাকালে যেকোনো ধরনের ড্রোন ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।

এছাড়া ভোটের সময় ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার আইনের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, ত্রয়োদশ নির্বাচনে তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে চলছে। মাঠপর্যায়ে নির্বাচন অফিসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশ বাহিনীর দিকনির্দেশনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদারকি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।

পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে ভোটসামগ্রী পরিবহন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে। যেসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেসব এলাকায় সেনাবাহিনী বা বিজিবির ওয়্যারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচনকালীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ১২টি বড় চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে— এর মধ্যে রয়েছে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য রোধ, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, এবং ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে ইসি।

তথ্যসূত্র: বাংলা নিউজ ২৪

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button