দুধ দিয়ে গোসল করলে আসলেই কী উপকার হয়?

দুধ দিয়ে গোসল করে নিজেকে শুদ্ধ করার রেওয়াজ শুধু বাংলাদেশেই নয়; বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এ ধরনের প্রথা দেখা যায়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে—দুধ দিয়ে গোসল করলে আসলেই কী হয়?
ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ দিয়ে গোসলকে পবিত্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই। শুধু এখানেই নয়, প্রাচীন রোমে সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে দুধ মিশ্রিত পানিতে গোসল করার রীতি ছিল। এমনকি মিশরের রানি ক্লিওপেট্রাও তার ত্বক ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত দুধ দিয়ে গোসল করতেন বলে জানা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ দিয়ে গোসলের রয়েছে কিছু প্রাকৃতিক উপকারিতা—
প্রথমত, দুধ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফ্যাট ও প্রোটিন ত্বককে নরম, মসৃণ ও নমনীয় করে তোলে। নিয়মিত দুধ মিশ্রিত পানিতে গোসল করলে ত্বক গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজড থাকে।
দ্বিতীয়ত, দুধ রোদে পোড়াভাব কমায়। দুধে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ ত্বকের জ্বালা ও দাগ হ্রাসে সহায়তা করে। রোদে ঘুরে আসার পর দুধের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে গোসল করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, দুধ ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মৃত কোষ অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে, ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও মসৃণ।
চতুর্থত, দুধ ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে। এর এনজাইম ও ভিটামিন ত্বকের কালচে ভাব দূর করে রঙ সমান করে তোলে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। ফলে ত্বক পায় প্রাকৃতিক দীপ্তি।
অতএব, দুধ দিয়ে গোসল কোনো ধর্মীয় আচারেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি একটি প্রাচীন প্রাকৃতিক স্কিনকেয়ার পদ্ধতিও বটে।



