
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এটা ঐকমত্য কমিশনের সনদেরই অংশ। আমরা যে ঘোষণা দিয়েছি, সেটা রক্ষা করতেই হবে। এটা কথার কথা নয়—নির্বাচন উৎসবমুখরভাবেই হবে।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা সবাই মিলে যেমন সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করা। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণতি পাবে।”
তিনি জানান, রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতেই তিনি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তি টানতে পেরেছি—এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসেও উল্লেখযোগ্য।”
জুলাই সনদকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী নতুন অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর এই অধ্যায়টি সঠিকভাবে রচিত হয়েছে। আমরা যেসব সংস্কারের কথা বলছিলাম, আপনারা সেটিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সারা জাতির জন্য এক বড় উৎসব হবে।”
তিনি জানান, সনদে ব্যবহৃত কলমগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত স্মরণ করতে পারে। “জুলাই সনদ জাতির জন্য এক বিশাল সম্পদ হয়ে থাকবে,” বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি আরও জানান, সনদ ও সংশ্লিষ্ট দলিলগুলো সহজ ভাষায় জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। বিতর্কিত বিষয়গুলোও ভিডিও ও বই আকারে সংরক্ষণ করা হবে, যেন এগুলো ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষণীয় সম্পদ হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সনদ ও নির্বাচন পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। জুলাই সনদেই উত্তরণের পথনির্দেশনা আছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবেই রূপান্তরটি হবে। আমাদের কাজ হলো সেটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।”
তিনি আরও জানান, আগামী শুক্রবার সারা জাতির সামনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার তুলে ধরা হবে।
১৭ অক্টোবরের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা উৎসবমুখরভাবে সনদে সই করব এবং সেই উৎসবে সারা জাতি শরিক হবে। এটি জাতির ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।”
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো



